চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে মালবাহী জাহাজে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাতজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরইমধ্যে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনায় বেঁচে ফেরা জুয়েল রানার অবস্থা কিছুটা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানান, জুয়েলের শ্বাসনালী কেটে গিয়েছে। তবে শ্বাস নেয়ার জন্য কৃত্রিম নল লাগানো হয়েছে।
আহত জুয়েল কথা বলতে না পারলেও নৌ পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা লিখে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা ৭ থেকে ৮ জনের দল ছিল। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চাঁদপুরে নোঙ্গর করার পর ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। একপর্যায়ে রাত ৪টার দিকে কেবিনের দরজায় নক করে দৃর্বৃত্তরা। এ সময় দরজা খোলার সাথে সাথেই আমার গলায় ছুরিকাঘাত করে তারা।
অপরদিকে সাত শ্রমিক-কর্মচারি হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে নৌযান শ্রমিকরা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দুপুরে মেঘনা নদীর মাঝিরঘাট এলাকায় নোঙর করা সারবাহী লাইটার জাহাজ ‘এমভি আল-বাখেরা’ থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। এ সময় তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ডাকাতির সময় নৌযানটির চালক, সারেং ও কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।